শারীরচর্চা বা ব্যায়াম আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতো বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। নিয়মিত শারীরচর্চা তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নিয়মিত শরীরচর্চা আপনার জীবনের মান উন্নত করতে পারে। প্রতিদিন ন্যূনতম ৩০ মিনিট শরীরচর্চা শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখতে অনেক উপকার করে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে, গবেষকরা বেশিরভাগ দিনে, বিশেষত দিনে ন্যূনতম ৩০ মিনিটের মাঝারি-তীব্র শরীরচর্চার পরামর্শ দেন। নিয়মিত শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস পায়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যায়াম বিষণ্নতায় সাহায্য করে। ব্যায়াম কীভাবে হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করে সে সম্পর্কে অনেক মতামত রয়েছে। ব্যায়াম নেতিবাচক চিন্তাকে অবরুদ্ধ করতে পারে বা প্রতিদিনের উদ্বেগ থেকে বিরত রাখতে পারে। অন্যদের সাথে ব্যায়াম করা সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধির সুযোগ দেয়। ব্যায়াম আপনার মস্তিষ্কে রাসায়নিকের মাত্রাও পরিবর্তন করতে পারে, যেমন সেরোটোনিন, এন্ডোরফিন এবং স্ট্রেস হরমোন। যেকোন শারীরচর্চা করা কিছুই না করার চেয়ে ভাল। আপনি যদি বর্তমানে কোন ধরনের শরীরচর্চা না করে থাকেন, তবে কিছু করে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে নিম্ন বিষয়গুলো অনুসরন করার চেষ্টা করুন। ১. প্রতি সপ্তাহে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিট (আড়াই থেকে পাঁচ ঘন্টা) মাঝারি তীব্র শরীরচর্চা বা ৭৫ থেকে ১৫০ মিনিট (সোয়া এক ঘন্টা থেকে আড়াই ঘন্টা) জোরালো তীব্র শরীরচর্চা করুন। ২. প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন পেশী শক্তিশালীকরণ শরীরচর্চা করুন। প্রতিদিন শরীরচর্চার সময় বৃদ্ধি করতে আপনি সারাদিনে কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন আনতে পারেন, যেমন গাড়ি ব্যবহার করার পরিবর্তে হাঁটা বা সাইকেল চালানো, ট্রাম, ট্রেন বা বাসে একটু আগের স্টপে নামুন এবং বাকি পথ হেঁটে যাওয়া ইত্যাদি। পরিশেষে, নিয়মিত শরীরচর্চা হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা আপনি আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য করতে পারেন। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, রোগের ঝুঁকি কমায়, হাড় ও পেশী শক্তিশালী করে এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম করার ক্ষমতাকে উন্নত করে।