এলার্জি প্রতিরোধে করণীয়

2024-03-15 | 101 Views
Blog-Image

বর্তমানে মানুষের শরীরের মধ্যে অ্যালার্জি বা হাঁপানি খুবই সাধারন একটি বিষয় । এলার্জির তীব্রতা প্রতিটি মানুষের মধ্যে পরিবর্তনশীল। এলার্জি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে, সঠিক চিকিৎসা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার মাধ্যমে, এই এলার্জি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।

বর্তমানে মানুষের শরীরের মধ্যে অ্যালার্জি বা হাঁপানি খুবই সাধারন একটি বিষয় । এলার্জির তীব্রতা প্রতিটি মানুষের মধ্যে পরিবর্তনশীল। এলার্জি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে, সঠিক চিকিৎসা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার মাধ্যমে, এই এলার্জি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। এলার্জি নিয়মিত নিয়ন্ত্রনে রাখতে, আপনাকে অবশ্যই আপনার জীবনমান সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শুধুমাত্র ধূমপান এড়িয়ে চলার মাধ্যমেই এলার্জি উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। রাস্তার ধুলাবালিতে বের হওয়ার সময় বা ঝাড়ু দেয়ার সময়, ফেস মাস্ক, তোয়ালে ব্যবহার করলে ধুলো এবং অন্যান্য এলার্জি জনিত কণা থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব। যানবাহনের নির্গমিত ধোঁয়া, বা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার মাধ্যমেও এলার্জি জনিত উপসর্গ অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব। একজন ব্যাক্তির নিয়মিত জীবনধারায় সামান্য কিছু পরিবর্তন করার মাধ্যমে এলার্জিজনিত সমস্যা থেকে নিজেকে অনেকটা মুক্তি দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শীতের কাপড় ধোয়া, লেপ-কাঁথা নিয়মিত রোদে দিয়ে ব্যবহার করা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কমাতে অনেক সাহায্য করে। এলার্জি প্রতিরোধে ঘরের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর এবং অ্যালার্জেন-মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা অপরিহার্য। এটি সম্পন্ন করার জন্য, নিচের ব্যবাস্থাসমুহ নেয়া যেতে পারে: 1. দিনের বেলা দরজা-জানালা খোলা রেখে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করানো। 2. সম্ভাব্য এলার্জি এড়াতে যতটা সম্ভব ঘাস ও আগাছা জাতীয় কোনকিছুর সাথে সংস্পর্শ এড়ানো। 3. এলার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে এমন সুগন্ধির সংস্পর্শ এড়াতে ফুল বা পারফিউমের গন্ধ থেকে বিরত থাকা। 4. মশলার তীব্র গন্ধ এড়াতে রান্না করার সময় একটি মাস্ক বা তোয়ালে ব্যবহার করা। 5. বায়ুমণ্ডলে সম্ভাব্য অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ এড়াতে বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করা। প্রতি ৮ ঘন্টা ব্যবহারের পরে মাস্কটি পরিষ্কার বা পরিবর্তন করা। 5. ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং খাদ্য নষ্ট হওয়া রোধ করতে ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়ার আগে গরম করা । 6. ঘরে ধূপ বা কয়েল ব্যবহার এড়িয়ে চলা, কারণ এগুলো বাতাসে ক্ষতিকারক কণা ছেড়ে দিতে পারে। 7. অ্যালার্জেন এবং ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়া রোধ করতে সপ্তাহে একবার বিছানার চাদর, বালিশের কভার এবং মশারি ধুয়ে ফেলা। 8. রোগ এবং অপ্রীতিকর গন্ধের বিস্তার রোধ করতে তেলাপোকা এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ অবশ্যই ঘর থেকে নির্মূল করতে হবে। 9. রেফ্রিজারেটর থেকে ঠান্ডা পানি খাওয়া এড়িয়ে চলা। কিছু খাবার সম্ভাব্য অ্যালার্জেন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: ১. মাছ (ইলিশ, চিংড়ি, বোয়াল), ২. গরুর মাংস, ৩. দুধ, ৪. ডিম (বিশেষ করে হাঁসের ডিমের সাদা অংশ), 4. সবজি (কুমড়া, বেগুন, মসুর ডাল), 5. ফল (আপেল, কলা এবং বাদাম) সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য, প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিটের জন্য নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। সবশেষে, অ্যালার্জি বা হাঁপানি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব না হলেও, জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করে উপরোক্ত নিয়মগুলো নিয়মিত বজায় রাখলে অনেকাংশেই এলার্জি নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।